Tuesday, November 17, 2009

আমার দুই দেশ

আমার দুই দেশ
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিউ ইয়র্ক
১১/১৬/২০০৯

নিসংগ নিস্তব্দ রাতে হারিকেন ইডায় প্লাবিত দু’কুল
আকাশে বাঁকা চাঁদ উকি মারে।
বৃষ্টির ঝনঝনানিতে ঘনঘনে রাত।
মেঘনার ভাঙ্গনে চাঁদপুরে জনবসতি গৃহহীন
নদীমাতার কেন এত অভিমান?
কার বিরহে?
ভৈরবের কলোরব এখন আমার প্রাণে
শ্রীমঙ্গলে ঠান্ডায় প্রাণ যায় যায়
এখন এই আলোকিত শহরের উত্তপ্ত ঘরে
আমার দেহখানি অতীব ঘর্মাক্ত।
আমি মঙ্গল কামনায়
আমার প্রাণের,আমার দেহের।
আমার দুই অস্তিত্তের।
ভোগবিলাশে মত্ত নস্ট ভ্রষ্ট এই দেহখানি
জ্বলে পুড়ে যায়,
আমার শীতল প্রাণের উত্তাপে।
জলবায়ু বন্যা আর কত আনবে তুমি কান্না?
যমুনার ভাঙ্গনে বারবার উজির দেওয়ান
হিমালয়ের বরফগলা জ্বলে স্বপ্নেরা খানখান।
ভোলাতে ভেলা চলে বারোমাস,
আজ দশদিকে প্লাবনের কারাবাস।
কারো কারো পৌষ মাসে আমারি সর্বনাশ,
এই হৃদয়ে বহে শুধু দীর্গশ্বাস আর দীর্গশ্বাস।

Friday, November 6, 2009

আমার দুকালের রবি

আমার দুকালের রবি
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিউ ইয়র্ক
৫ই নভেম্বর,২০০৯।

শ্রদ্ধেয়া আম্মাজান ওমর আফরোজের মৃত্যুবার্ষিকীতে

মা আমার জান্নাত
কী এক পুতপবিত্র স্নিগ্ধতা অভিরাম জ্বলন্ত,
স্বর্গের জ্যোতির সুপ্রভাত
কতদিন রাখেনা মা আমার মাথায় হাত।
এখন আমার আমার কবিতার কালোরাত।

ঐকিক অঙ্কের খাতায় সরল পাতায়
সুদকষার খসড়ায় আমি যখন মগ্ন এক
তখনি ডাক পড়ে মার।
শিম আর মাগুরের ঝোল দিয়ে ভাত খেতে আয়।
ওজিফাতে মগ্ন যখন মায়
আল্লাহের নিরানব্বই নাম নিয়ে
কান পেতে শুনি মায়ের কোলে বসেঃ
‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত’
আমি তখন হয়ে যাই লাশ এক, জীবন্ত।
গায়ের চামড়া দিয়ে জুতো বানালেও দুধের দাম হবেনা শোধ,
আমি এক নির্বোধ,কতই না ঋনী।
শোধের উপায়?
নাই। শুধুমাত্র ঐকান্তিক প্রার্থনা বিধাতায়।

মায়ের চোখের মনিতে দেখেছি আমার ছবি
রত্নগর্ভা মা আমার,
আমার দুকালের রবি।
আজ শুধু হাহাকার, বড়ই হাহাকার শুন্যতার।
স্নেহের হাত,মায়ের দোয়া নেই পড়ন্ত বিকেলে
কান্নার রাজ্যে বাস করেন কোন এক স্বভাব কবি,
দিনেরাতে বসে বসে রক্তের পিনকি মেখে
আঁকেন যেনো এক নাঁড়ির টানের ছবি।