Thursday, December 31, 2009
আমার দুই দেশ
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিউ ইয়র্ক
১১/১৬/২০০৯
নিসংগ নিস্তব্দ রাতে হারিকেন ইডায় প্লাবিত দু’কুল
আকাশে বাঁকা চাঁদ উকি মারে।
বৃষ্টির ঝনঝনানিতে ঘনঘনে রাত।
মেঘনার ভাঙ্গনে চাঁদপুরে জনবসতি গৃহহীন
নদীমাতার কেন এত অভিমান?
কার বিরহে?
ভৈরবের কলোরব এখন আমার প্রাণে
শ্রীমঙ্গলে ঠান্ডায় প্রাণ যায় যায়
এখন এই আলোকিত শহরের উত্তপ্ত ঘরে
আমার দেহখানি অতীব ঘর্মাক্ত।
আমি মঙ্গল কামনায়
আমার প্রাণের,আমার দেহের।
আমার দুই অস্তিত্তের।
ভোগবিলাশে মত্ত নষ্টভ্রষ্ট এই দেহখানি
জ্বলে পুড়ে যায়,
আমার শীতল প্রাণের উত্তাপে।
জলবায়ু বন্যা আর কত আনবে তুমি কান্না?
যমুনার ভাঙ্গনে বারবার উজির দেওয়ান
হিমালয়ের বরফগলা জলে স্বপ্নেরা খানখান।
ভোলাতে ভেলা চলে বারোমাস,
আজ দশদিকে প্লাবনের কারাবাস।
কারো কারো পৌষ মাসে আমারি সর্বনাশ,
এই হৃদয়ে বহে শুধু দীর্গশ্বাস আর দীর্ঘশ্বাস।
শিল্পীর জীবন কোরবান
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
২৪শে নভেম্বর,২০০৯
নিউ ইয়র্ক।
ইসমত আক্তার শিল্পীর কিসমতে কোরবান নাই এই ঈদে,
নিজেই কোরবানের পশু হয় এই ঈদে।
নাই আর খুশির নিঁদ,
ঘাতক স্বামী প্রানের পুরুষ কেঁড়ে নেয় তার জান।
ঘাতকের মুঘুরের আঘাতে মা শিশুর জান কোরবান।
মাতা শিল্পী এখন কোরবান।
কোলজুড়ে ফুটফুটে সন্তান,সোনার সংসার,
জামগোড়ার কাঁঠালতলায়,
অভাব অনটনের সংসার এখন বিরান,
অভাবের যাতনায় দাম্পত্যের প্রেম
দেহ আর মন থেকে পালালো।
কলহের জের আনলো টেনে কালোমেঘের
কেরোসিনের আগুনে প্রজ্জিলত মৃতদেহ
অগ্নিদগ্ধ ইসমত।
পাষন্ড পামর সীমার স্বামী
প্রতারক ঘাতক,
যে নারী তিলে তিলে উজার করে দিলো তোরে সমস্ত জীবনের আয়োজন
এই তার প্রতিদান?
শিল্পীর জন্য শোকের স্লোক এখন
দুই দিন পর খুশির ঈদ
এই প্রাণে কেন এত হারানোর ভীত?
‘তুমি আমার প্রাণের স্বামী
খোদার পরে তোমায় বড় জানি’।
শিল্পীর ভালোবাসা হৃদয়ের আশা
আজ কেন মিশে যায় বেদনার ভাষায়?
পতি, আনন্দ,দাম্পত্য এখন স্বর্গের কাছাকাছি
ব্যথার বোঝা বুকে নিয়ে আমি আজ হাসি।
নিদারুন নিষ্ঠুর পাষন্ড পামরের অট্টহাসি।
যার রক্তের চিহৃ জীবনের ফসল
হঠাৎ কেন হয় বিফল?
এখানে কিছু কিছু মানব দানবের তান্ডবে শিল্পীরা বড়ই কাতর
স্বর্গের তারা হয়ে উঁকি মারে, ছড়ায় প্রেমের আতর।
কোরবানী এখন
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
২৪শে নভেম্বর,২০০৯
নিউ ইয়র্ক।
প্রিয়জনের সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপনে ঘরমুখো মানুষের ভীড়,বড়ই আনন্দঘন পরিবেশ
ব্যস্ততা প্রবল কোরবানীর পশুর হাটে ,
ব্যাপক জনসমাগম ঘটে গবাদিপশুর হাটে,
মার্কেট শপিং সেন্টার,রেলওয়ে স্টেশন বাস, লঞ্চ ঘাটে,
ঘরফেরা মানুষের উপচেপড়া ভীড়ে।
পশু হাট গাবতলীতে শুধু গরু নয় এসেছে মরুর প্রাণী উট। মহিষ, খাসী ও ভেড়া প্রচুর ।
বিদেশী বা শঙ্কর জাত ,দেশী জাতের গরু।
কাতারে কাতার দেশী জাতের ষাঁড় ।
শখের পশুটিকে সাজাতেই যতসব আয়োজন
হযরতনগরের দেওয়ানবাড়ির দাদখান
সিন্ধি জাতের ষাঁড়ের দাম হাঁকেন লাখখান।
‘ঈদের দিন বলিয়া মদিনার ঘরে ঘরে আনন্দ,’
সারা দুনিয়ার মুসলমানের ঘরে ঘরে আনন্দের ছন্দ।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আল’আমিনের আদেশ পালনের আনন্দ।
বিরাট গরুছাগলের হাটে ধর্মপ্রাণ মানুষের ঢল
লাখো টাকার গরু নিয়ে কত হইহুল্লা আর শরগোল
কে কার চেয়ে বেশি দাম হাঁকাতে পারে তারি কম্পিটিশন।
আর একদিকে নিরীহ প্রাণীরা রবের সন্তুষ্টি কামনায় নিরবে চোখের জল ফেলে
নিজের জীবন উৎসর্গ করে।
‘পশু হয়ে জন্মেছি, মানুষতো জবাই করবে একদিন।খাবে এই পবিত্র ইদে, কোরবানী হই
এটাই পরম পাওয়া।‘
গাবতলী বাজারে হাজার হাজার পশুর শেষ কারবার,
বেঁচে আছি আর কদিন,এইটুকু শোকরগোজার।
জানি তবে প্রভুর দরবারে মাংসপিন্ড যায়না,
শুধু রক্তের পিঙ্কি পড়ে আরশের আয়নায়।
উৎসর্গের নজির আর বিশ্বাসের জোর।
আল্লাহের ঘরের মেহমান
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
২৪শে নভেম্বর,২০০৯
নিউ ইয়র্ক।
হাজীরা ইহরাম বেঁধে,
‘লাব্বায়েক আল্লাহুমা লাব্বায়েক’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে পবিত্র মক্কা নগরী,
মীনায় পাঁচওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, উচ্চস্বরে তালবিয়া পড়তে থাকে।
‘করুনার পাহাড়ের’ পাদদেশ আরাফায় হজের খোতবা শুনে মনপ্রাণে,
মুজাদালেফায় খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন শেষে
মিনায় শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ করে আবাল-বৃ্দ্ধ-বণিতায়,
রবের দরবারে মাথানত তাই ।
কোরবানী আদায় শেষে মাথামুন্ডন করে অবশেষে।
জান্নাতের টুকরা হাজরে আসওয়াদ ‘কালো পাথর’ দুনিয়াতে বেহেস্তের অংশ
আল্লাহ পাকের দক্ষিণ হস্ত,
হাজীরা আজ সেই কুদরতি হাতের সাথে করমর্দন করে,
শাহেনশাহের হাত ধরে যেমন করে সন্মানিত হয় অতি ছোটলোকে।
কালোপাথরের ঠোঁট আর দুইটি জিহ্বা ,কিয়ামতে সাক্ষী হবে তোমার মুক্তির তরে।
‘আমি জানি তুমি পাথরমাত্র,ক্ষতি ও উপকার কিছুই কর না,’
তোমাকে চুম্বন করি রবের প্রতি সন্মান প্রদর্শনে,
রাসূলের আদেশ পালনের পূর্ণ বাস্তবায়নে।
আতিউল্লাহা আর আতিউররাসূলা নীতির অনুসরনে।
কাবা ঘর তওয়াফ করে ঈমানদার বান্দায়
আর মদিনা মনওয়ারায় প্রিয় নবীজির রওজায়
শতকোটি সালাম জানায়।
টি জি আই এফ
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিউ ইয়র্ক
১১/২৫/২০০৯
আজ বিধাতা অনেক অনেক ধন্যবাদ পেলেন
‘থ্যাঙ্কস গড ইটস ফ্রাইডে’।
বেটারি পার্কে বসে লাঞ্চ খাচ্ছে একটু থান্ডার মাঝে
বার বার ঘড়িতে চোখ বোলায়,
কখন পাঁচটা বাজে।
কাজ আর কাজ ,ওরে বাবা এত কাজ আর কাজ,
করতে করতে কাজ
উঠে গেছে কতজনের লাজ।
কেউ কেউ অফিসে আসে টাইট জীন্স পরে
আবার কেউ কেউ অতীব খোলা কাপড়চোপড়ে,
কাজের চেয়ে লাজের প্রতি ঝুঁকে পড়ে সকলে!
হাডসনের তীরে ঠান্ডা বাতাস বয়
রাতের বেলা জমকালো পার্টি জমবে কেবল মন্দ নয়।
শত শত নারীপুরুষের মিশামিশি,
নৃ্ত্যের তালে তালে অতি বেশি ঘেঁষাঘেঁষি,
সভ্যতার চরম সুযোগে পরম আনন্দে
মেতে উঠে বিকৃ্তরুচির মানব মানবী,
খায় দায় ফুর্তিতে ভর্তি তার জীবন।
কোথাও এতটুকু চিন্তা নাই হবে একদিন মরন,
বারে-বারে কাটায় জীবন পর নারী নিয়ে সাথী,
অপেক্ষায় দিনগুনে অন্ধকার কবরের মাটি।
আম্মাজানের কোরবানী এবং প্রার্থনা
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিউ ইয়র্ক
১১/২৬/২০০৯
ঈদের আনন্দের উল্লাসে কাটে আমার শৈশবকাল
আগের রাতে আজরাইলের চুরি দেখে কোরবানীর পশু হতবিহ্বল ,
প্রিও আব্বাজান সাতভাগে করেন গরু কোরবানী।
ভাগ যায় জান্নাতী দাদা দাদীর নামে,একভাগ পায় নানী।
চাউলের সাদা রুটি বানায় স্বর্গীয় আম্মাজান,
তাজা মাংসের ঝোল দিয়ে খাবে তাই
ভাই বোনেরা খুশিতে আটখান।
আর জায়নামাজে বসে ওজিফা পাঠ করেন,
রবের দরবারে ঐকান্তিক প্রার্থনায় রত,
তসবীহ আর জিকির করেন কতই না দ্রত।
হাজার শোকর আদায় করেনঃ
‘করুনার ভান্ডার তুমি হে মহান
নাড়ীছেড়া ধনের বদলে পশু দিয়ে
আমার বাচাধনের জান বাঁচালে’।
একাগ্রচিত্তে পাঠ করেন পবিত্র কোরান।
প্রভু তুমি দয়া করে
বাড়িয়ে দাও দুনিয়ার সমস্ত মুসলমানের ঈমান-আমান।
এবার ঈদে প্রাণের চেয়ে প্রিয় মা জননীর তরে
বলি দিতে চাই নিজের জান কোরবান।
জুড়াও আজ বিদগ্ধ প্রাণ
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিউ ইয়র্ক
১১/১৯/২০০৯
কী এক কালিমা লেফে দিলো হন্তারক কাপুরুষ বাংলা মায়ের বুকে
কেড়ে নিলো পিতার তিলে তিলে গড়া সমস্ত অর্জন।
শেষ রাতে লাশ ফেলে ঘাতক
এবং নিহত জাতির জনক।
অথচ কী এক মহান ক্ষমায় তারা নিঃশ্বাস নেয়
স্বাধীন বাংলায়, সোনালী বাংলায়।
হে রাজাধিরাজ তোমার সন্তানেরা আজ
তোমার বুকের চাপা পাথর উপড়ে পেল্লো।
পিতা তুমি এখন শান্তিতে ঘুমাও।
আর স্বর্গ থেকে ঊঁকি মেরে দেখো
‘আমাদের ব্যর্থতা আজ এক প্রবল শক্তিতে পরিনত।
আমাদের শোকেরা আজ শকুনের মাথা কেটে দিলো।‘
তোমার অপমানের জ্বালায় জ্বলে পুড়ে এমন এক আগ্নেয়গিরি গড়েছি আজ,
ধান্দাবাজ কাপুরষ যাদের নেই লাজ
লেজ তুলে পালাবার পথ নাই তার,
তাদের গলেতে পরিয়ে দিয়েছি প্রতিশোধের ফাঁস।
এখন তারা ঘুমের ঘোরে প্রলাপ বকে,
তোমার রক্তমাখা প্রতিচ্ছবি দেখে দেখে
অন্ধকার কবরের দিনগোনে।
ঘাতক তুমি আর কতকাল থাকবে পলাতক?
আমাদের ক্ষমা করো হে জাতির সূর্যসন্তান।
যেখানে তোমায় দেবার কথা ছিলো সাদা পাঞ্জাবি আর জায়নামাজ,
অথচ কতিপয় অবাধ্য পাষন্ড পামর পরায় কাফনের কাপড়।
এখন তারাও পায়ে শিকল পড়ে দিনগুনছে
কখন আজরাইলের ডানার আঘাতে বেরুবে তাদের কলুষিত জান।
ঘাতকের বিচারের রায় শুনো আজ পেতে তোমার কান
আর জুড়াও বিদগ্ধ প্রাণ।
‘জানের বদলে জান,
হন্তারক এখন ভয়ে আচ্ছন্ন,এই তার প্রতিদান।
তোমার দান তোমাকে করেছে কতইনা মহান।‘
আজ নবপ্রভাতের সূর্যস্নান আর নতুন দিনের শপথ তোমারি বাংলায়,
ইতিহাসের কালপুরুষ হাজার বছরের বীরপুরুষ
জাতির জনক বঙ্ঘবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আইলার ভয়াল কোপে
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিউ ইয়র্ক
আইলার ভয়াল কোপে দাকোপের কালাবগী
এবার ঈদে বুঝি দাকোপের বিধ্বস্ত জনগন,
নিজেরাই কোরবান!
গেল বছর দিলো কত গরু ছাগল
কালাবগী খাঁ খাঁ করে আর মানুষের শেষ মনোবল!
কনকনে শীতে ঠকঠকে কাঁপে,
চারিদিকে পানি আর পানি
তিনবেলা খাবার নাই পেটে,অনাহারী।
আইলার কাছে কী অবশেষে পরাজয় মানি?
গেরস্ত বড়ই নিঃস্ব এখন পথের ভিখারী
খোলা আসমানের নিচেই দিনরাত যাপন।
বিধ্বস্ত জনপদে পড়ে আছে লাখো জনতা কাপনের কাপড়
যে লোকালয়ে একদিন ছিল সুখ আর স্বস্তির বান
ঈদের আনন্দ জীবনের ছন্দ ভালবাসার পদ্য,
থই থই জলে ডুবে আছে আজ মানব জমিন
কিছু কিছু মানুষের কপাল কতইনা মন্দ!
স্বাধীনতার সূর্যসন্তান এবং কালের শপথ
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিউ ইয়র্ক
১২/০৩/২০০৯
বিজয়ের মাসে আজ বাজে দুক্ষের নিনাদ
লক্ষ শহীদের তাজা রক্তে নাই কোন খাদ,
অকাতরে বিলায় প্রাণ
জাতির অঘোষিত স্বনামধন্য সূর্যসন্তান,
টেকনাফ হতে তেতুলিয়া
প্রজ্জ্বলিত অকুতোভয় বীরের বীরগাঁথা দিয়া।
গহীন জঙ্গলে পশুপাখী শাপ বিচ্ছুর সাথে একসাথে রাতকাটায়।
সোনার বাংলায় স্বাধীন বাংলায়
সবুজ মাঠে লাল সূর্য উঠাবে তাই।
আজ এই শহীদের পদতলে দিতে চাই আমার পুজার ফুল,
বাংলা মায়ের মুক্তিসেনা শুনো এখন আমার আরতির বোল।
তোমার নিঃস্বার্থ বলিদানে আমি এখন কবিতা লিখি,
তোমার বুকের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতার পদাবলি রচি।
তোমার রক্তের ঋৃণ শোধ করার শক্তি নাই আমার
স্বর্গের চিরঞ্জীবি ফুল হয়ে ফুটে উঠো তুমি বাংলার বুকে বারবার।
প্রেয়সীর পরাণ
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিউ ইয়র্ক
১১/২৫/২০০৯
কতদিন
আমি কতদিন দেখিনা তোমার মুখখানি
শুনিনা তোমার ময়ূরকন্ঠী গান
কতদিন বাজাইনা বাঁশি
কতদিন দেখিনা তোমার হাসি রাশি রাশি
কান্দে এখন আমার নিঠুরিয়া পরাণ।
হায়রে নিঠুরিয়া পরাণ
আমার নিঠুরিয়া পরাণ।
কতদিন
কতদিন কান্দে আমার প্রেয়সীর পরাণ।
হায়রে প্রেয়সীর পরাণ।
আমার প্রেয়সীর পরাণ।
কতদিন
কতদিন বাসিনা ভালো
আমি কতদিন বাসিনা ভালো
অমাবশ্যার কালোমেঘে ডুবে গেলো
আমার অন্তরের আলো
হায়রে অন্তরেরই আলো,
আমার প্রেয়সীর পরাণ
হায়রে প্রেয়সীর পরাণ।
আমার প্রেয়সীর পরাণ।
কতদিন
আমি কতদিন দেখিনা পূর্ণিমারি চাঁন
হায়রে পূর্ণিমারি চাঁন
আমার পূর্ণিমারি চাঁন।
কতদিন ভাঙ্গামনে কান্দে আমার প্রেয়সীর পরাণ
হায়রে কান্দে আমার প্রেয়সীর পরাণ
আমার প্রেয়সীর পরাণ।
হায়রে প্রেয়সীর পরাণ।
কতদিন
কতদিন রাখিনা চোখ তার চোখে
ভাসাইনা আমি পিরিতের সাম্পান
হায়রে পিরিতের সাম্পান
হায়রে প্রেয়সীর পরাণ
আমার প্রেয়সীর পরাণ।
কতদিন
আমি কতদিন বিরহের আগুনে পুড়ি
অন্তরেতে হোমানলের গান
তার হৃদয়ের টানে আমার মরা প্রাণে
বাজে এখন দুঃখজাগানিয়া গান
হায়রে প্রেয়সীর পরাণ।
আমার প্রেয়সীর পরাণ।
বাংলার গ্রাম আমার প্রাণ
মোমেনশাহীর ত্রিশালে, উপজেলার মুক্ষপুরে, মাছের খামারে,
বিষ ঢেলে মাছ মেরে ফেলে
দুর্বৃত্তের দলে।
ছাতারপাইয়ার মধ্যবাড়ি আর মজুমদার বাড়ি
কলহের আগুনে পুড়ে যেন এক রাঁঢ়ের বাড়ি।
নাটোরের লালপুর রাধাকান্তপুর
হিংসার দ্বন্ধে কতদিন এক ক্লান্তপুর!
গৌরনদী পৌর শহরের দক্ষিণ পালরদী গ্রাম,
যৌতুকের বলি
'মনি আর মনিরের' প্রেম।
সবাইকে কাঁদিয়ে অভিমানী মনি আত্মহত্যার কোলে
নিষ্ঠুর চরগাধাতলী।
২
মুক্তিযোদ্ধাদের চতুর্মুখী আক্রমণে পরাভূত পাক বাহিনী,
এদিকে মুক্ত স্বাধীন জনপদে পত্ পত্ করে উড়ছে বাংলাদেশের পতাকা।
অপ্রতিরোধ্য বাঙ্গালীদের অগ্রযাত্রায় মুক্ত
মৌলবীবাজার, বরিশাল, ঝালকাঠি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, পিরোজপুর।
রাজাকারের আস্তাকূড়।
জনপদবাসী বিজয় উল্লাসে মেতে উঠে।
একাত্তরে বীরদর্পে লড়ে জাতির অহংকার মুক্তিসেনা
আমাদের বিজয় নিশ্চিতের সূত্রপাত করে,
স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় এক সময়ের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয় জাতির মুক্তিযুদ্ধে।
বীর যোদ্ধাদের অদম্য সাহসিকতা আর দেশপ্রেমে পরিচালিত লড়াইয়ে দিশেহারা
তদানীন্তন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী।
সম্মুখ সমরে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পরাজয়ের ভয়ে ভীত
হানাদারের দোসরেরা।
মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস ও বীরত্ব গাঁথা কাহিনী।
প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য প্রাণপণে লড়ে অকুতোভয়ে।
ইয়াহিয়ার দানবমূর্তি সংবলিত পোস্টার 'এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে'
চিত্রশিল্পের ইতিহাসে পটুয়া কামরুল হাসান,
স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার চূড়ান্ত নকশা বানান।
'দেশ আজ বিশ্ব বেহায়ার খপ্পরে' কামরুলের কার্টুন চিত্রের থাপ্পড়ে
জেগে উঠে মরা গ্রাম আবার নড়েচড়ে।
৩
শংখ ও ডলু নদীর করাল গ্রাসে বিলীন হতে চলেছে সাতকানিয়া উপজেলার উত্তর কালিয়াইশ, ধর্মপুরের আলমগীর চৌধুরী গ্রাম।
কয়েক শতাধিক পরিবার গৃহহীন
নলুয়া, খাগরিয়া, আমিলাইশ, চরতি, কালিয়াইশ, ধর্মপুর, পুরানগড় ও বাজালিয়া।
চন্দনাইশের চাগাচর, বৈলতলী ও দোহাজারী ইউনিয়নের বহু পরিবার গৃহহীন ।
সাতকানিয়ার কালিয়াইশ ইউনিয়নের পূর্ব কাটগড় গ্রাম নদীগর্ভে অনেকটা বিলীন।
ভাঙ্গনের কবলে ঝুকিপূর্ণ কয়েক শতাধিক পরিবার, হাজার হাজার একর ফসলি জমি, বহু মসজিদ, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
উত্তর কালিয়াইশ আলমগীর চৌধুরী গ্রাম সাতকানিয়ার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার।
ডলু নদীর ভাঙ্গনে সামিয়ার পাড়া, বোয়ালিয়াপাড়া, সতিপাড়া, ছমদরপাড়া, রোজমরপাড়া, মাদার্শা ও রামপুরের তীরবর্তী জনপদগুলো প্রতিবছর নদীগর্ভে বিলীন ।
জলাবদ্ধতায় কালিগঞ্জ, শ্যামনগর, আশাশুনি ও দেবহাটা।
অপরদিকে ইছামতি, কালিন্দী, কাঁকশিয়ালী, খোলপেটুয়া নদীর সংস্কার খালগুলোর দু'পাশের মাটি ভেঙ্গে ভরাট । বর্ষা মওসুমে কৃষকদের ফসল তলিয়ে যায়। কাজ নাই হাজার হাজার মানুষ বেকার ।
তারা না পারে কইতে, না পারে সইতে, না পারছে চাইতে।
৪
নদীর পারে দাঁড়ালেই বাতাসে যেন এখন শুনতে পাওয়া যায় ক্ষীণকায়
তিস্তার দীর্ঘশ্বাস আর গুমরে ওঠা কান্না।
শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই পানিশূন্য তিস্তা পরিণত ধু-ধু বালুচরে।
ক্ষীণধারায় তিস্তার মূল অববাহিকা প্রবাহিত,
শুকনো মৌসুমে বাংলাদেশ অংশ পানি সঙ্কটে পতিত।
তিস্তার পানি এখন হিস্যার বিষয়।
প্রকৃতির কোলে সৃষ্টি এককালের স্রোতস্বিনী পাহাড়ী নদী তিস্তা,
মানুষের হাতে মৃত্যুই যেন এখন তার অমোঘ নিয়তি।
উজানে ভারতের গজলডোবায় প্রবেশমুখে এখন বেঁধে গেছে।
ব্যারাজগুলো এ নদীর উচ্ছল দুর্বার গতিকে রোধ করে দেয়।
বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন ক্যানালের মাধ্যমে নদীর স্রোত ঘুরিয়ে
তার বুক থেকে তুলে নেয়া হচ্ছে এ নদীর জীবন,
তিস্তা তার নাব্যতা হরিয়ে শীর্ণ, কঙ্কালসার।
নদী যখন উচ্ছল স্রোতস্বিনী ছিল,
দু'পারের হাজার হাজার পরিবার যারা এই নদীকে ঘিরে গড়ে তুলেছিল বসতি ও জীবন,
তিস্তার করুণ পরিণতিতে পুরোপুরি বেকার নদীপারের মানুষজন,
নদীর ভরাটে একটু বর্ষায় দু'কূল ছাপিয়ে ফুঁসে ওঠে, প্রতিশোধ নেয় সে মানুষের ওপর।
ঘরবাড়ি, ফসল সব কিছু উজাড় করে ফেলে।
বারবার ভাঙ্গনে নিঃস্ব হয়ে পড়ে লাখো মানুষ।
নদী শুকিয়ে যাওয়ায় মৎসজীবীরা বাপ-দাদার পুরনো পেশা ছেড়ে
এখন দিনমজুর কিংবা গ্রাম ছেড়ে শহরে পালায়, ছিন্নমূল।
খেয়াঘাট বন্ধ হয়, চরাঞ্চলের যোগাযোগ একেবারেই অচল অন্ধ।
তিস্তার ভাঙ্গনে জনেজনে জনপদে বিষন্ন দুপুর।
হারিয়ে গেছে রঙিন পালের নৌকা আর সেই চিরচেনা সুর দূর বহুদুর
'নাইয়ারে নায়ের বাদাম তুইলা'।
~জীবনের ছন্দপতন~ যখন
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
~জীবনের ছন্দপতন~
যখন
~দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে~
১
যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে
কৌশলে ঘিরে ফেলে,
সুত্রাপুরের দুধর্ষ সন্ত্রাসী শ্যুটার হাবু বাবু
পুলিশের হাতে অবশেষে কাবু।
অত্যাচার অনাচার বোমাবাজি সন্ত্রাস
কুড়ে কুড়ে খায় সমাজের যাবতীয় শৈলিনতার নির্যাস।
২
গাইবান্ধায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
সাদুল্লাপুরে ইট-পাটকেল
হবিগঞ্জে আনন্দ মিছিলে টানটান উত্তেজনা
পরাজিত দল জড়ো হয় শায়েস্তানগর,
বিদ্রোহী দলের লাঠি মিছিলে
আতঙ্কে উত্তর শহর খোয়াইমুখ।
৩
মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে
সন্ত্রাস্রীরা আড্ডাইয় ব্যস্ত,
নান্দাইলে শফিকুলের দুটি কিডনিই নষ্ট।
৪
মুখোশধারী ধর্ম ব্যবসায়ীর ঘৃণিত ভ্রান্ত মতবাদ
নিপাত যাক নিপাত যাক।
৫
কী এক সুখের বদরগঞ্জ!
১৩ বছরে বিয়ের সিঁড়িতে বসে
আর ২৫ বছরে লাশ অবশেষেঃ
শাহাপুরের পারভীন দামোদরপুরের শেখের হাট তেলীপাড়ায়
নারী লোপসু স্বামী শেখের পুতুল খেলায়।
পবায় মুরালীপুর নামোপাড়ায় গৃহবধূ জবাই
আমবাগানে পড়ে থাকে লাশ।
সাজেমারা আজ কত বড় অসহায়,
আমাদের এই বিশাল বাংলায়।
পচাঁকোড়ালিয়ার হুলাটানা গ্রাম
ধান কাটতে গিয়ে আজ রক্তের আগুনে পুড়ে ছাই
আমতলীতে ভাইয়ের হাতে খুন ভাই।
গফরগাঁওয়ের পাকাটি গ্রাম
পৈত্রিক সম্পত্তির জমির বিবাদে অকাল মৃত্ত্যুর যম।
বাইপাইল বাঁশঝাড়ে
গণধর্ষিতা শ্বাসরুদ্ধ রেহানার গলায় ওড়নার প্যাঁচানো ফাঁস পড়ে।
মধুমতি মডেল টাউনে অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের গলিত লাশ মেলে।
রাক্ষুসে কুকুর
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিউ ইয়র্ক
আদ্যিকালের বদ্দ্যি লিখে আমার কবিতার গৌরচন্দ্রিকা
জনান্তিকে থেকে শেষরাতে পাঠ করি নিত্যনতুন পত্রিকা।
যতোসব যশুরে কইয়ের মুখে ফোটে কত খই
শিয়ালপন্ডিতেরা গায় কত রঙের গীত,
কালাপাহাড় দেয়াল তুলে
দশচক্রে ভগবান ভূত।
এখন ভট্টপল্লীতে বাস করে ফাঁসুড়ে রাক্ষুসে কুকুর।
ভূতের বেগার খাটে ভুখাভগবানঃ
জলের দামে কিনে কথার ভট্টাচার্য্য
গল্পের ভুশুড়ি ভাঙ্গে মিটমিটে শয়তান।
আমার কবিতার কালোরাতে ভুখ-মিছিল যেন জলের রেখা
পৌষ পার্বনে পোয়া বারো ভূঁইফোড়ের,
শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে চালায় শিয়াল ফাঁকি,
না রাম না গঙ্গা
আরক্তলোচন যমের দোসর
দিনরাত ঘুরে ফিরে রাঁঢ়ের বাড়ি।
খোশামোদের গলেতে ঝুলে তোষামোদের মালাচন্দন,
প্রতিভার ভুষ্টিনাশে ব্যস্ত যত শঠে শাঠ্যং।
ধরাকাট ভীষ্মের প্রতিজ্ঞায়
আমার কবিতার এখন অতি বেশি ঘর্মাক্ত কলেবর।
বীরসেনার বীরগাঁথা
বীরসেনার বীরগাঁথা
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিউ ইয়র্ক
ডিসেম্বর,২০০৯।
১
জীবন যুদ্ধে আমরা সবাই মুক্তিযোদ্ধা।
একাত্তরের অকুতোভয় বীরসেনা
তোমাদের নিস্বার্থ উৎসর্গের বীরগাঁথা
বাংলার প্রতিটি মানুষের হৃদয়ের গভীরে গাঁথা।
বিজয়ের মাসে আজ রত
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সন্তানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায়,
এখন তোমাদের বীরত্ত্বের স্মৃতি চারণে
আমাদের দুনয়ন ভাসে অজস্র অশ্রুর বন্যায়।
২
একাত্তরের কালরাতে
স্বাধীনতার স্বাদ পেতে বুকে বুলেটের মালা পেতে নেয় বীরযুবায়,
অথচ আজ প্রতিটি ঘরে ঘরে এ কেমন পরাধীনতার যাতা?
স্বদেশের মুক্তির স্বাদ নিতে গিয়ে ধর্ষিতা আমার কত অজানা বোন আর মাতা।
বীরাঙ্গনা নারী তার ইজ্জত আর সভ্রমের বিনিময়ে কিনে সারা বাংলা মায়ের সম্ভ্রম।
অথচ এখানে এখন অবলা নারীর আর্তচিৎকারে কেঁপে উঠে মুক্তিসেনার গলিত কাপন!
লাখো শহীদের বুকের তাজা রক্তের দাগের মানচিত্রে
আর কত রক্তক্ষরন ঘটাবে হন্তারক?
স্বাধীন দেশে আর কত কাল পরাধীনতার নাগপাশে বন্দী থাকবে
আমার বাংলার রক্তাক্ত পতাকা?
জাতির বুকে চাপা পাহাড়ের পাথর সরাতে
সকল আগাছার উৎখাত ঘটাতে
আবার কখন গর্জে উঠবে বাংলার অগনিত বীরযুবা?
যশোরের ধুসরতায়
যশোরের ধুসরতায়
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিউ ইয়র্ক
ডিসেম্বর,২০০৯।
তীব্র শীতে ঠক ঠকে কাঁপে অশীতিপর বৃদ্ধ-বৃদ্ধায়
পৌষেই মাঘের বাঘকাঁপানো থান্ডায়
ঘন কুয়াশায় হিমেল হাওয়ায়
গৃহবন্দী কৃষক মজুর আবাল বৃদ্ধ বনিতায়।
দৌলতপুরের দরিদ্র দুঃস্থ পল্লীতে
উত্তরপাড়ায়, মরিচার বৈরাগীর চর
শীতবস্রহীন মানুষেরা মরে খেয়ে কনকনে শীতের আঁচড়।
রক্ত জমানো হাড় কাঁপানো শীতের আঁচড়!
যশোর এখন আবৃত হিমেলের ধুসরতায়,
শহরতলীর খয়ের তলায়
প্রান্তিক জনগনে দূর্ভোগে দিনকাটায়।
ফুটপাথ রেল স্টেশন কিম্বা কুঁড়েঘরে
তিমির তীব্রতায় মরণ কামড় মারে।
শহরের গরীব মার্কেটে উপচে পড়ে ভীড়
যদি মিলে ফিরে গরম কাপড়।
উনুনে আগুন পোহায়
বাড়ি বাড়ি ঘরে ঘরে জনে জনে।
‘যত শীত তত মিষ্টি ঐতিহ্যের যশোরে’
খেজুর গাছে রসের কলস আবার ঝোলে
অতি মিষ্টি গুড় পাটালীর ধুম পড়ে কুয়াশার সকালে।
এক আশায় বুক বাধে বিপন্ন মানুষেরা জীবনের সংগ্রামে।
Thursday, December 3, 2009
আল্লাহের ঘরের মেহমান
আল্লাহের ঘরের মেহমান
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
২৪শে নভেম্বর,২০০৯
নিউ ইয়র্ক।
হাজীরা ইহরাম বেঁধে,
‘লাব্বায়েক আল্লাহুমা লাব্বায়েক’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে পবিত্র মক্কা নগরী,
মীনায় পাঁচওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, উচ্চস্বরে তালবিয়া পড়তে থাকে।
‘করুনার পাহাড়ের’ পাদদেশ আরাফায় হজের খোতবা শুনে মনপ্রাণে,
মুজাদালেফায় খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন শেষে
মিনায় শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ করে আবাল-বৃ্দ্ধ-বণিতায়,
রবের দরবারে মাথানত তাই ।
কোরবানী আদায় শেষে মাথামুন্ডন করে অবশেষে।
জান্নাতের টুকরা হাজরে আসওয়াদ ‘কালো পাথর’ দুনিয়াতে বেহেস্তের অংশ
আল্লাহ পাকের দক্ষিণ হস্ত,
হাজীরা আজ সেই কুদরতি হাতের সাথে করমর্দন করে,
শাহেনশাহের হাত ধরে যেমন করে সন্মানিত হয় অতি ছোটলোকে।
কালোপাথরের ঠোঁট আর দুইটি জিহ্বা ,কিয়ামতে সাক্ষী হবে তোমার মুক্তির তরে।
‘আমি জানি তুমি পাথরমাত্র,ক্ষতি ও উপকার কিছুই কর না,’
তোমাকে চুম্বন করি রবের প্রতি সন্মান প্রদর্শনে,
রাসূলের আদেশ পালনের পূর্ণ বাস্তবায়নে।
আতিউল্লাহা আর আতিউররাসূলা নীতির অনুসরনে।
কাবা ঘর তওয়াফ করে ঈমানদার বান্দায়
আর মদিনা মনওয়ারায় প্রিয় নবীজির রওজায়
কোরবানী এখন
কোরবানী এখন
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
২৪শে নভেম্বর,২০০৯
প্রিয়জনের সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপনে ঘরমুখো মানুষের ভীড়,
বড়ই আনন্দঘন পরিবেশ
মহিষ, খাসী ও ভেড়া প্রচুর ।
হযরতনগরের দেওয়ানবাড়ির দাদখান
নিজের জীবন উৎসর্গ করে।
কোরবানী হই
জানি তবে প্রভুর দরবারে মাংসপিন্ড যায়না,
স্বাধীনতার সূর্যসন্তান এবং কালের শপথ
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিউ ইয়র্ক
১২/০৩/২০০৯
বিজয়ের মাসে আজ বাজে দুক্ষের নিনাদ
লক্ষ শহীদের তাজা রক্তে নাই কোন খাদ,
অকাতরে বিলায় প্রাণ
জাতির অঘোষিত স্বনামধন্য সূর্যসন্তান,
টেকনাফ হতে তেতুলিয়া
প্রজ্জ্বলিত অকুতোভয় বীরের বীরগাঁথা দিয়া।
গহীন জঙ্গলে পশুপাখী শাপ বিচ্ছুর সাথে একসাথে রাতকাটায়।
সোনার বাংলায় স্বাধীন বাংলায়
সবুজ মাঠে লাল সূর্য উঠাবে তাই।
আজ এই শহীদের পদতলে দিতে চাই আমার পুজার ফুল,
বাংলা মায়ের মুক্তিসেনা শুনো এখন আমার আরতির বোল।
তোমার নিঃস্বার্থ বলিদানে আমি এখন কবিতা লিখি,
তোমার বুকের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতার পদাবলি রচি।
তোমার রক্তের ঋৃণ শোধ করার শক্তি নাই আমার
স্বর্গের চিরঞ্জীবি ফুল হয়ে ফুটে উঠো তুমি বাংলার বুকে বারবার।
Tuesday, November 17, 2009
আমার দুই দেশ
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিউ ইয়র্ক
১১/১৬/২০০৯
নিসংগ নিস্তব্দ রাতে হারিকেন ইডায় প্লাবিত দু’কুল
আকাশে বাঁকা চাঁদ উকি মারে।
বৃষ্টির ঝনঝনানিতে ঘনঘনে রাত।
মেঘনার ভাঙ্গনে চাঁদপুরে জনবসতি গৃহহীন
নদীমাতার কেন এত অভিমান?
কার বিরহে?
ভৈরবের কলোরব এখন আমার প্রাণে
শ্রীমঙ্গলে ঠান্ডায় প্রাণ যায় যায়
এখন এই আলোকিত শহরের উত্তপ্ত ঘরে
আমার দেহখানি অতীব ঘর্মাক্ত।
আমি মঙ্গল কামনায়
আমার প্রাণের,আমার দেহের।
আমার দুই অস্তিত্তের।
ভোগবিলাশে মত্ত নস্ট ভ্রষ্ট এই দেহখানি
জ্বলে পুড়ে যায়,
আমার শীতল প্রাণের উত্তাপে।
জলবায়ু বন্যা আর কত আনবে তুমি কান্না?
যমুনার ভাঙ্গনে বারবার উজির দেওয়ান
হিমালয়ের বরফগলা জ্বলে স্বপ্নেরা খানখান।
ভোলাতে ভেলা চলে বারোমাস,
আজ দশদিকে প্লাবনের কারাবাস।
কারো কারো পৌষ মাসে আমারি সর্বনাশ,
এই হৃদয়ে বহে শুধু দীর্গশ্বাস আর দীর্গশ্বাস।
Friday, November 6, 2009
আমার দুকালের রবি
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিউ ইয়র্ক
৫ই নভেম্বর,২০০৯।
শ্রদ্ধেয়া আম্মাজান ওমর আফরোজের মৃত্যুবার্ষিকীতে
মা আমার জান্নাত
কী এক পুতপবিত্র স্নিগ্ধতা অভিরাম জ্বলন্ত,
স্বর্গের জ্যোতির সুপ্রভাত
কতদিন রাখেনা মা আমার মাথায় হাত।
এখন আমার আমার কবিতার কালোরাত।
ঐকিক অঙ্কের খাতায় সরল পাতায়
সুদকষার খসড়ায় আমি যখন মগ্ন এক
তখনি ডাক পড়ে মার।
শিম আর মাগুরের ঝোল দিয়ে ভাত খেতে আয়।
ওজিফাতে মগ্ন যখন মায়
আল্লাহের নিরানব্বই নাম নিয়ে
কান পেতে শুনি মায়ের কোলে বসেঃ
‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত’
আমি তখন হয়ে যাই লাশ এক, জীবন্ত।
গায়ের চামড়া দিয়ে জুতো বানালেও দুধের দাম হবেনা শোধ,
আমি এক নির্বোধ,কতই না ঋনী।
শোধের উপায়?
নাই। শুধুমাত্র ঐকান্তিক প্রার্থনা বিধাতায়।
মায়ের চোখের মনিতে দেখেছি আমার ছবি
রত্নগর্ভা মা আমার,
আমার দুকালের রবি।
আজ শুধু হাহাকার, বড়ই হাহাকার শুন্যতার।
স্নেহের হাত,মায়ের দোয়া নেই পড়ন্ত বিকেলে
কান্নার রাজ্যে বাস করেন কোন এক স্বভাব কবি,
দিনেরাতে বসে বসে রক্তের পিনকি মেখে
আঁকেন যেনো এক নাঁড়ির টানের ছবি।
Wednesday, October 28, 2009
বাংলার মাটি মুক্তিযোদ্ধার ঘাঁটি
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিকলীতে জনতার বিক্ষোভ
আমাদের অধিকার আদায় করবোই করবো।
প্রান্তিক পরিবার নিস্ব চড়া সুদের হারে
ধনশালা গ্রাম দারিদ্রের কোপানলে
শিয়ালিডাঙ্গার খানজাহান লোপাট করে
দারিদ্রবিমোচনের নামে দরিদ্রের ধন ধৌলতপুরে,
গোদাগাড়ীতে বোদাই মেম্বর গোদাইছা চাষ করে
শীতকালে জমিতে পানি আটকে।
কোটি টাকা পাচার করে টাকার কুমির,
রাঘব আর বোয়াল পরস্পর যোগসাজসে সিংগাপুরে,
এখন আবার হাজত খাটে কাশিমপুর কারাগারে।
শুভঙ্করের ফাঁকে আয়কর ফাঁকি দেয়
গায় সকলে একযোগে মিথ্যার বেসাতি।
সন্ত্রাস,টেন্ডারবাজ আর ধর্ষনকারীর বিচার করবে আজ আইনের নিজস্ব গতি।
আর একযোগে চালাবে যোদ্ধা সাঁড়াশী অভিযান
বাংলার বীরযুবার নতুন যৌবনের এখন নবীনবরণ।
পরাজয়ে ডরেনা বীর
আবার উঠবে তবে বাঘের মত খেপে
সাকিবের টাইগার বাহিনী,
গড়বে এক নতুন বীরগাঁথা
বিজয়ের সমুজ্জ্বল কাহিনী
ডলারের দৃঢ়তায় মুশফিকুরের অবদমিত আশায়
বুক বাঁধে আপামর জনতায়।
খমতার দাপটে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিরাই
দেশের মানচিত্র বদলাতে তৎপর।
দালালদের সাধের পাকিস্তানের মানচিত্র বদলিয়েছে
বাংলার বীরসেনা একাত্তরে।
লক্ষ শহীদের প্রানের তাজা রক্তের বিনিময়ে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেই করবে এই রক্তাক্ত মাটি,
শহীদের রক্ত সোনার চেয়েও খাঁটি।
Monday, October 26, 2009
মেঘনার ভাঙ্গনে
আমার কবিতার কালোরাত
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
মেঘনার ভাঙ্গনে
নিউ ইয়র্ক,অক্টোবর ২৬,২০০৯
উত্তাল মেঘনার ভয়াল স্রোতে বিলীন বসতবাড়ি,গাছপালা আর জনবসতি,
কত আশায় মানুষ বাঁধে ঘর, স্বপ্নেরা হতাশ এবং বড়ই হতাহত,হৃদয়ে বেদনার হাহাকার।
মেতেছে মেঘনা আজি উন্মত্তলীলায় আবার।
ভয়াবহ ভাঙ্গনে শত শত পরিবার ভিটেমাটিহারা
মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই আর আমি বিহ্বল এক দিশেহারা
জেলে দিনমজুর পথের ফকির
কখন থামাবে তোমার উন্মাদনার তান্ডবলীলা ?
মেঘনার ভাঙ্গনের আতঙ্কে দিনকাটায় দিনমজুর
পানির উত্তাল ঢেঊয়ের আঘাতে ও প্রবল স্রোতে গ্রামের পর গ্রাম বিলীন।
পূর্ণিমার জোয়ারের জোতে ভেসে যায় হৃদয়ের মনপূরা
ভাটার স্রোতের তোড়ে দূকুলের মাটি নদীতে মিশে,
ভিটেমাটি হারা ভাঙ্গনের কবলে আমাদের হৃদয়ের ভোলা।
মেঘনার পাড় জুড়ে নীরব কান্না, আমার অন্তরে প্রবল বন্যা,
মেঘনার গর্জনে সবাই তটস্হ,আত্মীয়স্বজন ইতস্ততঃবিক্ষিপ্ত।
‘মেঘনা আমাগো বেক খাইছে, অহন রইছে পরানডা। এইড়া নিলে বাইচ্চা যাইতাম’।
পুর্নিমার জোতে পানির তীব্রতা বাড়ে, ভাঙ্গে ধৈর্য্যের বাঁধ
ইলিশার নাদের মিয়ার হাট
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলেঃ
আমার গ্রাম- গুপ্তগঞ্জ স্বারাজগঞ্জ মহেশখালী দক্ষিনের তালতলা আর তালুকগ্রাম,
নদীতে বিলীন বিরান আমার গ্রাম।
আমার বাড়ি,বিলীন আমার বাড়ি,
মিঝিবাড়ি ইসলামবাড়ি গোলদারবাড়ি সর্দারবাড়ি ঢালিবাড়ি তালুকদারবাড়ি
খাঁখাঁ করে এখন নদীতে বিলীন খাঁবাড়ি
মেঘনার গর্ভে বিলীন আমার হৃদয় নিংড়ানো বাড়ি।
কখন থামবে আবার উত্তাল মাতাল মেঘনার বিশাল বিশাল ঢেউ ?
কখন থামবে আবার উন্মাদিনী মেঘনার বিরহের বিধ্বংসী ফেঊ ?
Sunday, October 25, 2009
ধাপ্পাবাজের থাপ্পর
ধাপ্পাবাজের থাপ্পর
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
আমরা এখন ধান ভানতে শিবের গীত গাই,
জলবায়ুর পরিবর্তনে পল্টনে মশাল মিছিল লাগাই,
সকল পোয়াতিকে লাউ দিয়ে বাচ্চা মুরগীর ঝোল খাওয়াই।
ইসবগুলের ভুসি খাইয়া কলিজা জুড়াই,
লুটপাট করে পাহাড়ের সম্পদ গড়ি।
ধরমের ষাঁড়ের মত ধর্মশালায় বসে ধেনো মদ খাই।
ধাপ্পাবাজ ঘাতকের দোসর সেজে রাষ্ট্রযন্ত্র চালাই।
‘বিশ্বে খাদ্য সঙ্কটের আওয়াজ’,’শতাব্দীর দীর্ঘ খরায় কাবু ধরাতল’,
‘বুদ্ধির গোড়ায় ধোঁয়া দিয়ে’,’দারিদ্রের মুলশিকড় উৎপাটনে ব্রত’
আমরা সবাই রত।
‘নাড়ির টানে শিকড়ে পানি ঢালি’ আর শিকড় কাটি চোখে ধুলি দিয়ে।
ধোপা-নাপিত বন্ধে বড় একরোখা আমরা।
অথচ ‘ক্ষুধা-দারিদ্র-বৈষম্য-বঞ্চনা মুক্ত’ ধুলিশয্যা গড়তে একপা খাড়া,
ফাঁসির রজ্জু গলায় ঝুলিয়ে
‘জাতির জনকের হত্যাকান্ড অপরিহার্য ছিলো’ বলে এখনো
ধানাই-পানাইয়ের ধকল চালাই অবরে সবরে,
বিকারগ্রস্থ রসু খাঁর দলে নাম লিখাই ধাপধাড়া গোবিন্দপুর যাবো বলে,
হয় ধারে কাটবো নয় ভারে কাটবো ধানগাছের তক্তা,
কথার ধোকড় ধনদাস আমরা ধামালি বাজাই অবনিতলে,
ধুরন্ধরের দল চারিধারে,আর ধোড়িবাজিতে সয়লাব,
ধারা সম্পাত আজ ধ্বানতারির নক্ষত্রপাতে।
নিউ ইয়র্ক,২১শে অক্টোবর,২০০৯।
Saturday, October 24, 2009
ফেরেব্বাজের ফুসমন্তর এবং ভেখধারী পুতলের নাচ
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
ফেরেব্বাজের ফুসমন্তর এবং ভেখধারী পুতলের নাচ
বউকাটকি বউদির জীবন ভীষন্ন করে তোলে,
বিষ কাটালির বিষে প্রাণ যে বাঁচেনা আর,
বিষকন্যা বুকের রক্ত চুষিয়া খায়।
মাটি করে সোনার স্বপ্ন কেড়ে নেয় প্রাণের প্রাণ,
গায়ে পড়িয়া কোন্দল চালায়।
আচারভ্রষ্টের অনাচারে ঠোঁটকাটারা পেছনের দরজা দিয়ে পালায়,
টাকা খায় টাকা মারে যতোসব ঘুনে পোকায়,
টাকার কুমির ইমারত গড়ে আবার ঢাকায়।
কিল খেয়ে কিল চুরি করে
অনবরত নিরীহ আবাল-বৃদ্ধ -বণিতার জনতায়,
গোকুলের ষাঁড়েরা আজ পাথরে পাঁচ কিল মারে,
পাড়াকুদুলিরা পূণ্য ক্ষয় করে অহরহ,
সুখ নাই এখন আর সংসারে।
Saturday, September 12, 2009
Thursday, September 10, 2009
Badr Badr
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
বদর বদর
সত্যের জয় চারিদিকে মিথ্যার পরাজয়,
রমজানের যুদ্ধ ছিলো বদর বদর।
মোমিনের খঞ্জর অতীব ধারালো
নাই তার কোনো ডর।
গায়েবের শক্তি কাজ করে দুনিয়াবী স্বার্থের বিরুদ্ধে,
তোরা কে কে যাবি আজি ঈমান রক্ষার যুদ্ধে।
পরাজয়ে ডরেনা বীর,
যখন থাকে মুখে তাকভীর।
জাহান্নাম,
আল্লাহের শত্রুদিগের পরিণাম।
মাবুদের দুনিয়া ছোট হয়ে যায়,
নাফরমানী করে যে, আল্লাহতালায়।
নিউ ইয়র্ক,
৯/১০/২০০৯
Hayenar Kalodat
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
শাহনাজের পদাবলি
হায়েনার কালোদাত কতো লম্বা
আতরের গন্ধে ভরা তার জোব্বা।
যৌনতার মিছিলে,
গীত করে উলঙ্গ নৃত্যের তালে তালে।
ভুবুক্ষু দানব মানবের রুপেই করে বসবাস,
বিকৃতরুচির ঘটে ভয়ঙ্কর বিকাশ।
নীতির বাক্যবানে জর্জরিত,
আর ভিতরে ভিতরে ইতরের চিৎকার।
কুৎসিত কদাকার কালোদাত তার
ভাংতে চায় সুরম্য প্রাচীর আমার সীমানার ।
নিউ ইয়র্ক,২০০৯।
Saturday, August 22, 2009
Tuesday, August 18, 2009
Dolarer Bhooth
Dolar Mahmud
Dhorey Zimbabuer Bhut
Kedey Ney Ghota char Wicket
73 Runey 6 Wicket
Porajoyer Achey Baki Koyek Minit.
Birer mudray marey bolBanglar Dolar
Onichchit Khelay
Nichchoyotar raghini bajay
Char wicket niya.
Zimbar dholey,
Likhey dey series porajoy tader kopaley-
Ullashey Nachey tai Mehrab,
Chonder Taley taley~
Kobitay Mogno Sohrab!!
#
Manob Jomin
~Saka Chow~
Aziz Rejakar~
SaKa Chow,
Korey Gho Gho,
Rejakarer Haddi,
Choiddo Gushti,
Banglar Kuti Taka Khaiya
Hoichey Ki Nadush Nudush
Cheharay Pushti.
Deshey pirley ebar
Jonoghon Apamor Banglar,
Banghbey tar ghaar,
Koriya Uth,
Namabey tar Bhooth.
#
Razib Baba
Raziber Aynay Moynar Chobi,
Valobasha Jouboner Birat Dhabi.
Razib Baba
Koto Je Haba
Khay Sudhu
Nekder Thaba,
Korey bar bar Touba.
Ajeeb Jeeb
Razib Boba.
Manob Jomin~
Peer~
Ma Amar Jibon
Ma Amar Moron
Ma Amar Shurjodoy... Read More
Ma Amar Shurjasto
Ma Amar Jannat
Ma Amar Behesto~
Allah Talar Nij Hatey Srishto~
Ma Amar Ihokal
Ma Amar Porokal.
Ma Amar Khodhatalar Sreshto Niyamot,
Mayer Chokhey Pani Dekhley
Amar Ridoye Roktokhoron,
Shuru Hoy Jeno Ajj RojKeyamot.
~Manob Jomin Kabbonatto~
#
Mayer Jonno Mon Manena,
Boner Birohey Bedona.
Mayer Payer Nichey Shontaner Behest,
Mayer Adhor Okrittim Ebong Nischit.
~ Mayer Jonno Praththona~
Thursday, August 13, 2009
Monkey See Monkey Do
People do what you do, not what you say.
You live in a glass house.
You lead by an example.
Success is a planned event.
You become what you believe.
Making it happen~ nothing happens to you.
Do you keep your options to change your life in a positive way?
#
Reality Hit List
Money can solve 99% of the problems.
Overcome to become.
Knowledge from Books,but Wisdom from God.
If you do the work,you will get all the award and rewards.
#
Take Home Message
1) Find Out where are you in life?
Do You really need something in life?
2) Avenue all options of success.
3) Expose yourself to successful people.
4)Express your dreams.
5)Expects some oppositions and learn how to handle.
6)Time and energy
7)Extract positive principles
8)Exclude negative thinkers around you.
9)Normal expectations.
10)Exhibit attitudes.
11)Explore every possibles avenues.
12)Extend helping hand.
You will remember this notes,you never forget this notes.
Wednesday, August 12, 2009
Monday, August 10, 2009
Saturday, August 8, 2009
MANOB JOMIN`JOUTUK
MANOB JOMIN
~RAJNITIBAJ`
Mohammad Sohrab Aziz
Sazid Matbor~
Shorkarer Meyad 3 Bochor Hoileo Kharap na, 2 bochorey ami 2 Koti teka kamaitey parum. 5 Koti takar
Pukur Churi ami kortey parum na. Ami Rajnitibaj kintu Dur Niti Baj na.
Aziz Rejakar~
Matbor Thik koichey. Beshorkari dhol rastay birodhita kortey chayna ajjkal,Shonghshoder shamner chairey
boshtey juddho korey, Shorkar Bishoyok Montronaloy komotir chairman hoitey chay, Pod na pailey
shonghsod chairra choilla jay,Emon Rajnitijibir ayushkal Ami 3 bochor kortey chai. ~Rajnitibaj~ Amar
shomaj..~
Aziz Rejakar~
Matborer mukhey ajj keno photena Kothar Khoi,
Dalaler Alkhellay Bhorey gechey Geram,Porechey Hoichoi.
~ Banglar phul phutechey~ Sudhurer durdeshey..
NUTISH~
Aziz Rejakar~
"Ehaney becha Maal Hirai loina,
Hocha Maal e sudhu becha hoy,"
"Nij dayitte Maal rakhen, Chorai maler jonno amara dayi noi."
"Anner Vote toter dorkar oiley eksho ta kacha shoti note loiya ayenn."
~JOUTUK~
By Mohammad Sohrab Aziz
Aziz Rejakar~
Joutuk Hoilo Amader Koutuk, Joutuk nai tai Shongsharey Shanti nai.
Sazid Matbor~
Amar polar biyatey HDTV, Yahoo Messenger,Sony Erection Laptop, Tea Mobil ebong Uttarar Alaol Ave
ta na likha diley Maiyya Tulei nimuna.Joutuker Chukti banghar Jukti dekhaiya Chonno chara koira
Palamu.
Zakia~
Bapjan Amar biyar Dorkar nai, Matborer Koutuk amar ar shoyna,Ami bish khaiya morbo.
Amar Ashiq rey eiboney Pawoa Hobeyna: Porojonomey ami biyar shiditey boshbo.
Ashiq~
Ami Joutuker Kheta puri.
Ami Ei Koutuker Shomajkey bodhley debo.Amar Zakia Boli hobey,Shonghshar banghbey tar.Amar shoriery
ek bindhu rokto thaktey ta hobeyna.Amar ma bon Preyoshi ar kotodin ei bikrito shomajer khelar putul
thakbey.Lovi datalera grash korey amar Ronghin bashor, Ami ajj ni hatey khurbo tader kobor.Joutuker
Koutuker Kobor Rochona Korbo Ami Matborer Bukey.
Peer~
Joutuk Deyaneya mohapap.
Mukto koro shomajer paptap.
Piriye dao nairir shonman.
Jahannam ~Allar shotrudiger porinam.
#
~Manob Jomin~
JHOP BUJEY KOP MAREY
Mohammad Sohrab Aziz
Upol~
"Jhop Bhujey Kop Marey
Aziz Rejakar,
Matborer Khash Dosto
Manusher Bukey Hahakar.
Probol Bokey Abol Tabol
Mundhutey Joto Gondhogol
Ketey Dei Nam Tar Nam Bondhur Khatay,
Rejakarer Oshuvo Chaya Porey Jiboner Pathay.
#
IF YOU CAN'T DELIVER WORD OF ENCOURAGEMENT,JUST KEEP YOUR MOUTH SHUT.
Aziz Rejakar~ If you have 80 Friends~ Your friends are 4.20~ 80~20 Rules are in Effective~Only 20%
are real Friends only.~80% are fake~ 6Pack&Chick Friends~<> 420<>~
The Pareto Principles ~ applies every aspect of life.
80~20. 80% are in the Rut, living a life of quite desperation. Where are you Gee?
Italian Economist Mr. Pareto's law .80% are average.
#1 Aziz Rejakar is a role in the 'Manob Jomin' a Rhyming Drama.
# I am studying The Pareto Rules.
Thanks for the effort to understanding the reality.
Aziz Rejakar is not an educated enough to count 1234567~ He counts only 02H~ I mean Zero 2 Hero.
H2O2 is a Perfect Water.
#
The Number Of The Nargis
I am 7 letters long-1234567.My 123 is a vehicle.My 2345 was a pop group.My 456 is a piece of
luggage. My 567 changes ever year what am I ?
#
Everyone has a dark side, and I am not special.Just like you but have to go through some situations.And
I promise to my PenPal~ See you in the Funbook USA wall.
#
A great example of life by Nargis. The Rashidul Bari collections are in Harvard now. There is only one
Rashidul who can see LIFE in peoples eyes. I am just blessed to be around with the Wisdom Of The
Ages. You can do it too. And Strive for the excellence.
~AMAR BHORAT~
Mohammad Sohrab Aziz
Mabudh Meherban
Ohey Mohan Shoktir Adhar
Dhalo Jhol Tomar Korunar
Amar gonah naker doghay
Tomar Khoma vikkha maghi
Rohomot bina Ami Nirupay
Shomosto Rajjotto Tomar
Ohey Parwardeghar
Ami Gunahgar bandha Tomar
Punnoratrir Kosom
Tumi Ononto Oshim.
Ya Allah Rahman Rahim
Khuley dao Rohomoter bhandhar
Probu Tomar Nur bina amar Duniya Andhar.
~Amar Bhorat~.
Mohammad Sohrab Aziz
~Amar Shobey Bhorat~
~Amar Kobitar Kalorat~
~Agoster Kalorat~
~Bidhatar Ovishompat~
~Jiboner Aghat Protighat~
~Notin Dhiner ShuProvat~
~Bonchonar Dirghorat~
~Protishoder Sukkho Korat~
~Shanai Ami Dhinrat~
~Amar Bhorat.~
Mohammad Sohrab Aziz
~BHORAT~
~A Blessing from the Almighty.
~A Sazid Akhtar.
~A blessed family, relationship.
~ May be a death in the family .
~ A financial crisis or a heartwrenching divorce or a broken friendship .
~ A tough time~
~ An unbearable burden.
~A new hope or a new day
~A New Begining.
~ A Life Happening .
~A Friday Prayer Offers Unity in the Community.
NURIR BHORTAER MOSHA
Mohammad Sohrab Aziz
Nurir Bhoratey Morar Moshar Kamor,
Roktochoshar Shuler Bhoye
Ridiye Dhorpor Dhorpor
Aha Ki je Bishodor Prani,
Khay Nurir Lalpani.
Boroi Itor Jib Banglar Mosha
Rater Bhela barey Utpat ar Khell Tamasha.
Roktochosha moshar dol
kamor marey chirokal
korey amar lal
chamra jom kalo.
#
~Rajadhiraj~
Mohammad Sohrab Aziz
A silent killer~A lonely star~ Singing in the Dark~ A bleeding Heart~
And I am Walking Alone on the Planet Earth.The Fate of a Quiet Emperor~Rajadhiraj.
#
Sazid Bhai~ Can't Tell You GoodBye~
You're Not Only A Brother~
A Shining Star
Lightning for Million Years.
#
Banglar Achol.
Amar Achey Jhol,
Noyoner Gohin Tol,
Korey Tolmol,
Nishshashey R Bishshashey
Lal Shobujer Dhol, Banglar Achol.
Ami kotodin uriyechi Lal Shobuj potaka,
Amar Chtto chelebela, amar Lekhapora.
Mohammad Aziz
Shorger shad rondrey rondrey onubhovey Ponkoj shoroborey,
Modhushuda pan korey nachiya nachiya premer kunjoboney.
Noyoner Tibro chahoni , Thoter norom kompon,Nishshasher nagbish ,
Baray Shotogun, Ridoyer spondon.
8/8/2009
#
Prothom Alo Lagey Valo
Portey kimba Likhtey
Geyaner Alo joley Uththey
Geyan Prodip Jalo.
8/8/2009
#
Ronghpurer Rongtamashay Uthbey JegheyJoyce,
Jagho bahey Konthey Shobay nai kono Choice.
#
Jiboner Jobonika Koronagho Path,
Manob Somudrey Bash kori ami Dibarat.
Amar mukh chokh nak kan gola ,
Hat pa Deho, Puler moto pobitro shobi .
#
Amar Achey Jhol,
Noyoner Gohin Tol,
Korey Tolmol, Nishshashey R Bishshashey Lal Shobujer Dhol, Banglar Achol.
Ajj Bristir Jonno Praththona korechi onek,
Borendrer phosol biraney ,
Jokhon Urey ashey na ghonokalo Megh.
Valobasha Lotapatar Kimba Roshir Badhon Na,
Ridoyer Bondhon~Jar Nai Kono Khondon.
Valobasha Atmar Moha Milon~
Jibon Joubon Tomay Korlam Dhan~
Valobasha Piriter Shampan~.
#
ITORER BASHAY
Mohammad Sohrab Aziz
Oshobbo Itorer Bashay
Ajj Kolushito Doshdik,
Valobashar Padh Patey
Hayenar Dhol~Dhik Shotadhik.